স্বামী বিবেকানন্দ শুধু ভারতের নই সমগ্র মানব জাতির গৌরব। Essay on SWAMI VIVEKANANDA in Bengali এখানে আমরা এই মহান বাক্তিত্ত সম্পর্কে জানবো , যিনি তার জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছিল মানাব্জাতির কল্যানের উদ্দেশে। স্বামী বিবেকানন্দ প্রবন্ধ ।
Image source : Google |
স্বামী বিবেকানন্দ প্রবন্ধ / Essay on SWAMI VIVEKANANDA in Bengali
স্বামী বিবেকানন্দকে ভারতের মহাপুরুষদের মধ্যে গণ্য করা হয়। এমন এক সময়ে যখন ভারত ইংরেজদের দাসত্বের মধ্যে নিজেকে নিকৃষ্ট বলে মনে করছিল, ভারত মাতা এমন একটি ছেলের জন্ম দিয়েছিল যা কেবল ভারতবর্ষেরই নয়, সমগ্র মানবতার জন্য গৌরব অর্জন করেছিল। তিনি বিশ্বের মানুষকে ভারতের আধ্যাত্মিকতার প্রশংসা করেছিলেন। পুরো ভারত এই মহান মানুষকে নিয়ে গর্বিত।অনন্ত জীবনের এই স্রোতে নির্দিষ্ট ক্ষণস্থায়ী ব্যক্তিত্ব জন্মগত প্রতিভা এবং বজ্র-ঝলক নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিল। সভ্যতার মহাসড়কে মহান জীবনের মিছিলে তারা অন্যতম উজ্জ্বল জ্যোতিষ। দেশপ্রেম ও মানবপ্রেমের দ্বৈততা তাকে বীরত্বের শক্তি দিয়েছিল এবং সন্ন্যাসীর শত্রুতা দিয়েছে; অতএব, তিনি বীর সন্ন্যাসী বিবেকানন্দ।স্বামী বিবেকানন্দ প্রবন্ধ / Essay on SWAMI VIVEKANANDA in Bengaliস্বামী বিবেকানন্দ প্রবন্ধ জন্ম ও বংশ পরিচয়
১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ই জানুয়ারি কলকাতার সিমুলিয়ার বিখ্যাত দত্ত পরিবারে। নবজাগৃতির অন্যতম প্রাণপুরুষ স্বামী বিবেকানন্দ জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতৃদত্ত বাল্য নাম বীরেশ্বর, ডাক নাম বিলে এবং ছাত্রজীবনের নাম নরেন্দ্রনাথ। বিবেকানন্দের পিতার নাম বিশ্বনাথ দত্ত এবং মাতার নাম ভুবনেশ্বরী দেবী। তার পিতা ছিলেন হাইকোর্টের প্রতিষ্ঠ খ্যাতনামা এটনি। শৈশবে নরেন্দ্রনাথ ৬টি অত্যন্ত দুরন্ত; দুঃসাহসী ও ডানপিটে ছিলেন। তবে লেখাপড়ার প্রতি ছিল তার গভীর আগ্রহ। বুদ্ধির স্বামী দীপ্তি তার কাজকর্মে, খেলাধূলায় প্রকাশ পেত। ধর্মীয় উপাখ্যানাদি ও পৌরাণিক কাহিনি তাকে গভীরভাবের আকর্ষণ করতাে।(essay on swami vivekananda in bengali)স্বামী বিবেকানন্দের শৈশব ও শিক্ষাজীবন
সর্ববিখ্যাত অদম্য কৌতুহলী নরেন্দ্রনাথ মাত্র ১৪ বৎসর বয়সে আপলিটান ইনস্টিটিউশন থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রেসিডেন্সী কলেজে ভর্তি হলেও সব স্কটিশ চার্চ কলেজে (জেনারেল এসেম্বিলিজ) ভর্তি হন। এখান থেকে এফ, এ পাস করেন। Essay on SWAMI VIVEKANANDA in Bengali এরপর নিজেই দর্শনশাস্ত্র নিয়ে ভর্তি হন। কলেজের পুঁথিগত বিদ্যায় তিনি পরিতৃপ্ত ছিলেন না, তাই ছাত্রাবস্থা থেকেই ঈশ্বর তত্ত্ব ও জগৎ সম্পর্কিত নানা প্রশ্ন ও সংশয়ে তার হদয় আন্দোলিত হতে থাকে। ১৮৮৪ খ্রিস্টাব্দে নরেন্দ্রনাথ অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে বি. এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ইতিমধ্যে অকস্মাৎ পিতৃবিয়ােগ ঘটায় তার আইন পড়ার ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে গেল, তিনি সংসারের দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।স্বামী বিবেকানন্দ প্রবন্ধ আমাদের গ্যানের আলোকে উদ্দিপিত করে।স্বামী বিবেকানন্দ প্রবন্ধ তার ধরমভাবনা ও দীক্ষালাভ ঃ
দর্শন অধ্যয়নের প্রাক্কালে গতানুগতিক হিন্দুধর্ম সম্পর্কে সংশয়বাদী হয়ে ওঠেন। এই সময় তিনি ব্রাত্মবন্ধু কেশবচন্দ্র সেনের সংস্পর্শে আসেন।(Essay on SWAMI VIVEKANANDA in Bengali ) ইত্যবসরে নরেন একদিন দক্ষিণেশ্বরে এলেন ঠাকুর রামকৃষ্ণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। এখানে এসেই তিনি ঠাকুর রামকৃষ্ণের নিকট প্রকত সত্য ও ঈশ্বর তত্ত্বের সন্ধান পেলেন। স্বামী বিবেকানন্দ প্রবন্ধ , ঠাকুর রামকৃষ্ণও যুবক নরেনের মধ্যে অধ্যাত্ম তেজস্বিতা। আবিষ্কার করেন। রামকৃষ্ণের জ্যোতির্ময় স্পর্শে ত্যাগ মন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে তিনি নবরুপে ঈশ্বরকে উপলদ্ধি। করেন এবং মানুষের মধ্যেই মুক্তির পরম মন্ত্রটির সন্ধান পেলেন। এরপর নরেন্দ্রনাথের অধ্যাত্ম শিক্ষা সম্পূর্ণ হলে ঠাকুর রামকৃষ্ণ তাকে সন্ন্যাসধর্মে দীক্ষা দেন। নরেন্দ্রনাথ এবার হলেন বিবেকানন্দ। এরপর বিবেকানন্দ হিমালয়ের নির্জন পরিবেশে সুদীর্ঘ বারাে বছর ঈশ্বর আরাধনায় নিমগ্ন হন।সন্ন্যাস গ্রহনের পরে স্বামী বিবেকানন্দ ঃ
সন্ন্যাসী বিবেকানন্দ ও দীর্ঘ সাধনা সমাপ্ত হলে বিবেকানন্দ পরিব্রাজকের জীবন গ্রহণ করে সমগ্র ভারত পরিভ্রমণ করেন। এইভাবে আসমুদ্র হিমাচল পরিভ্রমণ সম্পন্ন করে সমগ্র ভারতবর্ষের প্রকৃত স্বরূপকে প্রত্যক্ষ করে ভারতের অন্তর-মূর্তি অনুধাবন করেন।(swami vivekananda essay in bengali) তাঁর গুরুর—“খালি পেটে ধর্মাচরণ হয়। না”—এই বাণী মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেন। তাঁর উদাত্ত আহ্বানে পরাধীন, হৃতসর্বস্ব জীবত জাতি যেন এক জিয়নকাঠির যাদুস্পর্শে ফিরে পেলে তার আত্মশক্তির লুপ্ত বিশ্বাস। বেদান্তের গভীর সমুদ্র মন্থন করে তিনি প্রচার করলেন ‘বৈদান্তিক সাম্যবাদ’।বিবেকানন্দ এর বিশ্বজয়
১৮৯৩ সালে স্বামী বিবেকানন্দ প্রবন্ধ শিকাগো শহরের ধরমমহাসম্মেলনে ব্রক্তিতা দিয়ে ভারাতকে গৌরবের এক চরম শিখরে পৌঁছে দিয়েছিলেন। এই সম্মেলনে ভারতের হিন্দু সনাতন ধরম কে জাতির সম্মুখে তুলে ধরাই ছিল স্বামী বিবেকানন্দ এর মুল উদ্দেশ্য ।swami vivekananda essay in bengali এই বক্তৃতাই অনেক নামি গুনি বাক্তি মোহিত হন এবং ভারতের সনাতন ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন। এই মহাসম্মেলনেই ভগিনী নিবেদিতা স্বেচ্ছায়ে তার সান্নিধ্য গ্রহন করেন।
স্বামিজির সৃষ্টি ও প্রতিষ্ঠা
স্বামী বিবেকানন্দ প্রবন্ধে তার সৃষ্টি সম্বন্ধে থাকবেনা সেটা হতেই পারেনা । তার লেখা কয়েকটি বই এর মধ্যে বিখ্যাত "রাজযোগ ", " ভক্তিযোগ ", প্রাচ্চ - পাশ্চাত্য", যেগুলোর মধ্যে তার বাণী ও চিন্তাদরস প্রদর্শিত করা আছে।
স্বামী বিবেকানন্দ এর দেহাবসান
১৯০২ সালের ৪থা জুলাই এই মহান প্রতিভাবান বেক্তির মহাপ্রয়ান ঘটে। তার দেহাবসান সত্যি-ই অভুতপুরন ।
সারাদিন ধ্যানস্থ থাকা অবস্থাতেই তার দেহাবসান ঘটে।
স্বামী বিবেকানন্দ প্রবন্ধ / Essay on SWAMI VIVEKANANDA in Bengali
Post a Comment